প্রবাসেও দেশি পোশাকের কদর
দূর পরবাসেও দেশীয় পোশাকের কদর রয়েছে বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে। পশ্চিমের জীবনধারায় পশ্চিমা পোশাকের পাশাপাশি স্বদেশি পোশাক ব্যবহারেও পিছিয়ে নেই তাঁরা। এই নারীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কিছু ব্যবসায়ী শাড়ি, লেহেঙ্গা, ফতুয়াসহ বিয়ের পোশাক বিক্রি করছেন। পশ্চিমা পোশাকের বিপুল চাহিদার মধ্যে নারীদের রুচি ও পছন্দ বিবেচনায় রেখে নিউইয়র্কে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি পোশাক বিক্রির প্রতিষ্ঠান। হাত বাড়ালেই এসব কাপড়ের দোকানে পাওয়া যায় মিরপুর কাতান, টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়ি। মানসম্মত কাপড় ও সুন্দর নকশার কারণে দেশীয় পোশাক বিক্রির এসব প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে।
বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কুইন্সের জ্যামাইকায় অবস্থিত মাসুম ক্লথ স্টোর অন্যতম। চট্টগ্রামের টেরি বাজারের ২০ বছরের পুরোনো প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ড এটি। গত বছর জ্যামাইকাতে তারা নতুন শোরুম চালু করেছে।
মাসুম ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী কাজী হাবিবুল ইসলাম। ছেলে মাসুম আবেদিনের নামে মাসুম ক্লথ স্টোর। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কাজী হাবিবের পুত্রবধূ আখিলা আবেদিন।
আখিলা আবেদিন বলেন, প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণে জ্যামাইকার হিল সাইডের পারসন্স ব্লু বার্ডে মাসুম ক্লথ স্টোর যাত্রা শুরু করেছে। এখানে বাঙালি নারীদের পছন্দের পোশাকই বেশি। শাড়ির মধ্যে মিরপুর কাতান, টাঙ্গাইল, জামদানি, বেনারসি, জুট কাতান আনা হয় বাংলাদেশ থেকে। ভারত থেকে আনা হয় হেভি কাতান, ভেলভেট কাতান, কাঞ্জিভরম, বেঙ্গালুরু কাতান, গাড়োয়াল সিল্ক ও ছাপা শাড়ি। ছেলেদের পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি, কুটি পাঞ্জাবিও রয়েছে। শীত ও গ্রীষ্ম মৌসুম অনুসারে মানানসই পোশাক আনা হয়। ঈদ, পূজা-পার্বণসহ বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রেখেও পোশাক আনা হয়।
আখিলা আবেদিন জানান, বাংলাদেশি ছাড়াও পাকিস্তানি, ভারতীয় ও হিস্পানিক ক্রেতারাও এখান থেকে কেনাকাটা করেন।
জ্যামাইকার ১৭১-এর বাসিন্দা হাসিনা আক্তার ও জ্যাকসন হাইটসের বাসিন্দা নাদিরা খানম প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসে থেকেও দেশি শাড়ি-পোশাক কিনতে পেরে তাঁরা খুশি।

Comments

Popular posts from this blog

হস্তমৈথুনের ফলে কতো ক্যালোরী খরচ হয় ?