অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া পুতিনবিরোধী ১১ জন
অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া পুতিনবিরোধী ১১ জন
রাশিয়ার প্রবল ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচকদের কয়েকজনেরই সহিংস বা রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে সন্দেহের তির কিছুটা হলেও ক্রেমলিনের দিকে গেছে। এ ধরনের সর্বশেষ ঘটনাটি ইউক্রেনের। সেখানে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিতে সাবেক রুশ আইনপ্রণেতা দেনিস ভরোনেকভ খুন হন। তিনি পুতিন-বিরোধিতা শুরুর পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে ইউক্রেনে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ভরোনেকভ হত্যাকাণ্ডে মস্কোর হাত ছিল বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো স্বয়ং অভিযোগ করেছেন। তবে পুতিনের মুখপাত্র তা নাকচ করে দিয়েছেন।
ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত আরও ১০ জন সহিংস বা রহস্যময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বরিস নেমৎসভ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কোয় ক্রেমলিনের কাছেই নিহত হন। তাঁর পিঠে অজ্ঞাত আততায়ী চারবার গুলি করেছিল। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পুতিন ‘ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণে’ নিয়েছেন। হত্যাকারী এখনো পলাতক।
পুতিনের আরেক সমালোচক বরিস বেরেজভস্কিকে ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের একটি বাড়ির বাথরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনো অজানা। ২০০৯ সালে মানবাধিকারকর্মী স্তানিস্লাভ মারকেলভ এবং সাংবাদিক আনাস্তাসিয়া বাবুরোভা গুলিতে নিহত হন। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ তাঁদের মৃত্যুর দায় নব্য-নাৎসিদের ওপর চাপিয়েছে। ক্রেমলিনের সমালোচক আইনজীবী সের্গেই মানিৎস্কি ২০০৯ সালে পুলিশি হেফাজতে মারা যান। একই বছর সাংবাদিক নাতালিয়া এস্তেমিরোভাকে অপহরণ করে জঙ্গলে নিয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি রুশ বাহিনীর নির্মমতা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখেছিলেন।
চেচনিয়ায় দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে লেখা রুশ সাংবাদিক আনা পোলিৎকভস্কায়াকে ২০০৬ সালে নিজের বাসায় গুলি করে হত্যা করা হয়। পুতিন এ ঘটনায় ক্রেমলিনের যোগসাজশের অভিযোগ অস্বীকার করেন। একই বছর লন্ডনের একটি হোটেলে তেজস্ক্রিয় উপাদান মেশানো চা পান করার তিন সপ্তাহ পর মারা যান কেজিবির সাবেক কর্মী আলেক্সান্দর লিৎভিনেঙ্কো। ব্রিটিশ তদন্তে দেখা যায়, রুশ গোয়েন্দারাই তাঁকে হত্যা করেছিলেন। পোলিৎকভস্কায়া হত্যায় পুতিনকে দায়ী করেছিলেন লিৎভিনেঙ্কো। পুতিনবিরোধী নতুন দল গঠন করা সাবেক কর্নেল সের্গেই ইউশেঙ্কভকে ২০০৩ সালে মস্কোয় নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে মারা হয়। ২০০৩ সালে সাংবাদিক-লেখক ইউরি শচেকোচিখিন যুক্তরাষ্ট্রে রহস্যময় অসুখে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিকভাবে মারা যান।
ভরোনেকভ হত্যাকাণ্ডে মস্কোর হাত ছিল বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো স্বয়ং অভিযোগ করেছেন। তবে পুতিনের মুখপাত্র তা নাকচ করে দিয়েছেন।
ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত আরও ১০ জন সহিংস বা রহস্যময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বরিস নেমৎসভ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কোয় ক্রেমলিনের কাছেই নিহত হন। তাঁর পিঠে অজ্ঞাত আততায়ী চারবার গুলি করেছিল। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পুতিন ‘ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণে’ নিয়েছেন। হত্যাকারী এখনো পলাতক।
পুতিনের আরেক সমালোচক বরিস বেরেজভস্কিকে ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের একটি বাড়ির বাথরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনো অজানা। ২০০৯ সালে মানবাধিকারকর্মী স্তানিস্লাভ মারকেলভ এবং সাংবাদিক আনাস্তাসিয়া বাবুরোভা গুলিতে নিহত হন। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ তাঁদের মৃত্যুর দায় নব্য-নাৎসিদের ওপর চাপিয়েছে। ক্রেমলিনের সমালোচক আইনজীবী সের্গেই মানিৎস্কি ২০০৯ সালে পুলিশি হেফাজতে মারা যান। একই বছর সাংবাদিক নাতালিয়া এস্তেমিরোভাকে অপহরণ করে জঙ্গলে নিয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি রুশ বাহিনীর নির্মমতা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখেছিলেন।
চেচনিয়ায় দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে লেখা রুশ সাংবাদিক আনা পোলিৎকভস্কায়াকে ২০০৬ সালে নিজের বাসায় গুলি করে হত্যা করা হয়। পুতিন এ ঘটনায় ক্রেমলিনের যোগসাজশের অভিযোগ অস্বীকার করেন। একই বছর লন্ডনের একটি হোটেলে তেজস্ক্রিয় উপাদান মেশানো চা পান করার তিন সপ্তাহ পর মারা যান কেজিবির সাবেক কর্মী আলেক্সান্দর লিৎভিনেঙ্কো। ব্রিটিশ তদন্তে দেখা যায়, রুশ গোয়েন্দারাই তাঁকে হত্যা করেছিলেন। পোলিৎকভস্কায়া হত্যায় পুতিনকে দায়ী করেছিলেন লিৎভিনেঙ্কো। পুতিনবিরোধী নতুন দল গঠন করা সাবেক কর্নেল সের্গেই ইউশেঙ্কভকে ২০০৩ সালে মস্কোয় নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে মারা হয়। ২০০৩ সালে সাংবাদিক-লেখক ইউরি শচেকোচিখিন যুক্তরাষ্ট্রে রহস্যময় অসুখে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিকভাবে মারা যান।
Comments
Post a Comment