যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ল

সব জল্পনাকল্পনা শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছর প্রথমবারের মতো নীতিনির্ধারণী সুদের হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। ফলে দেশটিতে নীতি সুদের হার বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১ শতাংশে। এত দিন এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদারে নীতি সুদের হার বাড়ানোটা প্রত্যাশিতই ছিল। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি দুই দিনের সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডের পর্যালোচনা সভায় ৯-১ ভোটে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। ফেডের একটি আঞ্চলিক অফিসের প্রধান নিল কাশকারি বিপক্ষে ভোট দেন। ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জ্যানেট ইয়েলেন সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দেন। এ নিয়ে গত তিন মাসে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার বাড়াল ফেড। ইতিপূর্বে গত বছরের ডিসেম্বরে সুদের হার বাড়ানো হয়েছিল।

বিশেষ করে গত ফেব্রুয়ারিতে কর্মসংস্থান-সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশের পর থেকেই সুদের হার বাড়ানো হচ্ছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৩৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া কিছুদিন ধরেই দেশটিতে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৭ শতাংশের মধ্যে থাকায় এবং ব্যয়যোগ্য আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়কে সুদের হার বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ বলে আগেই উল্লেখ করেন জানান জ্যানেট ইয়েলেন।

জ্যানেট ইয়েলেন জানান, সুদের হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্তটিকে মুদ্রানীতির সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে। ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এবং মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের কাছাকাছি অবস্থাতেই স্থায়ী থাকবে। এ ছাড়া চলতি বছরে তিন ধাপে সুদের হার বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সুদের হার বাড়ানোর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে চাঙাভাব দেখা গেছে। ওয়াল স্ট্রিটের ডাও জোন্স সূচক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তবে বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর পড়েছে। এর মধ্যে ইউরোর বিপরীতে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ ও পাউন্ডের বিপরীতে ১ শতাংশ পর্যন্ত দর পড়ে ডলারের। ইন্টারনেট অবলম্বনে।