আরিফুল ও বুলবুল ফের বরখাস্ত

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে ফের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগ পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

আরিফুল ও বুলবুল দুজনই বিএনপির নেতা।

আরিফুলের বিরুদ্ধে একটি মামলায় গত ২২ মার্চ সুনামগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সম্পূরক অভিযোগপত্র গৃহীত হয়। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে, একটি মামলায় বুলবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় তাঁকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রথমবার সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার প্রায় দুই বছর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে আরিফুল ও বুলবুল আজ মেয়রের দায়িত্ব নিতে নিজ নিজ নগর ভবনে যান। মেয়রের চেয়ারে বসতে না বসতেই তাঁরা ফের সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন।

চেয়ারে বসার দুই ঘণ্টার মধ্যে আরিফুল বরখাস্ত:
প্রায় দুই বছর তিন মাস পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের চেয়ারে বসেছিলেন আরিফুল। বেলা ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর মধ্যে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ আসে।

সিটি করপোরেশনের ফ্যাক্সে আসা সাময়িক বরখাস্তের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আরিফুল। পরে নগর ভবন ছাড়েন তিনি।

বাসায় গিয়ে আরিফুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই বছর পর দুই ঘণ্টার জন্য মেয়রের দায়িত্ব পালন করলাম। আমি আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

চেয়ারে বসতে না বসতেই বরখাস্ত বুলবুল
উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে আজ সকাল ১০টার দিকে বুলবুল তাঁর দায়িত্ব নিতে নগর ভবনে আসেন। কিন্তু তালা ঝোলানো থাকায় মেয়রের কক্ষে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হন তিনি। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নগর ভবন।

বেলা দেড়টার দিকে বিশেষ কায়দায় মেয়রের কক্ষের দরজা খোলা হয়। বেলা তিনটার দিকে নিজের কক্ষে গিয়ে বসেন বুলবুল। প্রায় একই সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ফ্যাক্সে বুলবুলকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ আসে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুলবুল বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু শোনেননি। এ রকম কিছু হলে তা ষড়যন্ত্রমূলক।

পরে নগর ভবন থেকে চলে যান বুলবুল।

আরও সংবা
দ