শিশু রাকিব হত্যা মামলা দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন
- Get link
- X
- Other Apps
শিশু রাকিব হত্যা মামলা
দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন
খুলনায় শিশু রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় দুই আসামি শরীফ মোটরসের মালিক ওমর শরীফ ও তাঁর সহযোগী মিন্টুর মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দুই আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
জরিমানার এই অর্থ রাকিবের পরিবারকে দিতে হবে। অন্যথায় দুই আসামিকে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
জরিমানার এই অর্থ রাকিবের পরিবারকে দিতে হবে। অন্যথায় দুই আসামিকে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আদালত বলেছেন, আসামিদের মধ্যে রাকিবকে বাঁচানোর প্রবণতা দেখা গেছে। তাঁরা রাকিবকে নিয়ে হাসপাতালে গেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনো ফৌজদারি অপরাধের রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
এসব দিক বিবেচনা ও নথি পর্যালোচনা করে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) এবং আসামিদের আপিল ও জেল আপিল খারিজ করে এই রায় দেওয়া হয়।
আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর গত ২৯ মার্চ হাইকোর্টে শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য ৪ এপ্রিল (আজ) তারিখ ধার্য করেছিলেন আদালত।
২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ে এই মামলায় ওমর শরীফ ও তাঁর সহযোগী মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। পাশাপাশি আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে।
বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার ১৪ মাসের মাথায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর গত ১০ জানুয়ারি শুনানি শুরু হয়। আজ রায় ঘোষণা করা হলো।
২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বিকেলে খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে এক মোটরসাইকেলের গ্যারেজে মলদ্বারে কম্প্রেশার মেশিনের মাধ্যমে বাতাস ঢুকিয়ে রাকিবকে হত্যা করা হয়। পরের দিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে গ্যারেজ মালিক শরীফ, শরীফের সহযোগী মিন্টু ও মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার ৯৬ দিনে বিচারপ্রক্রিয়া শেষে একই বছরের ৮ নভেম্বর রায় দেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক।
বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলার নথিপত্র ওই বছরের ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে এসে পৌঁছে এবং ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুত হয় ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে।
আরও সংবাদ
বিষয়:
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment