জঙ্গিবাদের শিকার হচ্ছে শিশুরাও বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ

জঙ্গিবাদের শিকার হচ্ছে শিশুরাও

বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিবাদের শিকার হচ্ছে শিশুরাও। মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে জঙ্গি অভিযানে চার শিশু নিহত হওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, হয়তো জঙ্গিরা শিশু এবং পরিবারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা বলেছেন, শিশুদের জীবিত রাখতে অভিযানের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নিতে হবে।

গত কয়েক মাসে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে কয়েকজন শিশুর মৃত্যুর পরই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

গত ডিসেম্বর মাসে রাজধানীর আশকোনায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে একটি বাড়ি থেকে চার-পাঁচ বছরের একটি শিশুর হাত ধরে বের হওয়ার সময়ই এক নারী আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হন। এতে আহত হয় শিশুটিও। পরিবার-পরিজনহীন অবস্থায় আহত এই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই অভিযানে নিহত হয় জঙ্গি নেতা তানভির কাদরীর কিশোর ছেলে (১৪ বছর) তাহরীম কাদেরী।

গত মাসে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে দুই দম্পতি আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এখান থেকে একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে জঙ্গি অভিযানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হয়। এর মধ্য শিশু ছিল চারটি। বিস্ফোরণে শিশুগুলোর দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায়। এর মধ্য ছোট শিশুটি এমনভাবে ছিন্ন ভিন্ন হয়, সে ছেলে না মেয়ে তা বোঝা যাচ্ছিল না।

শিশুদের এ মৃত্যু প্রসঙ্গে গতকাল শনিবার পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ওই চারটি শিশুকে মাঝখানে বসিয়ে তিন অভিভাবক আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই বাড়িতে সোয়াটের অভিযান শুরুর আগেই তারা আত্মঘাতী হয়। মনিরুল ইসলাম বলেন, এরা ইসলামবিরোধী, অমানুষ।

তবে, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান প্রথম আলোকে বলেন, জঙ্গিরা শিশু ও পরিবারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে এ শিশুদের বাঁচাতে না পারাটা অভিযানের অদক্ষতাকে তুলে ধরে। কেননা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলে। সেখানে এত শিশু আছে জানার পরেও অভিযানের পদ্ধতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। মানবাধিকারকর্মীদের পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকবে, পরবর্তী সময়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যেন শিশুদের উদ্ধারে বাড়তি পদক্ষেপ এবং সতর্কতা নেওয়া হয়।

আরও সংবাদ

বিষয়:

মৌলভীবাজারসিলেট বিভাগ