জেলা নদী সম্মেলন মানিকগঞ্জে পাঁচ শাখা নদ–নদীর অস্তিত্ব নেই
- Get link
- X
- Other Apps
জেলা নদী সম্মেলন
মানিকগঞ্জে পাঁচ শাখা নদ–নদীর অস্তিত্ব নেই
খননের অভাব, দখল-দূষণ ও উজানে ভারত থেকে পানিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতার কারণে মানিকগঞ্জে পাঁচটি শাখা নদ-নদীর অস্তিত্ব নেই। এ ছাড়া ৪টি নদী, ৪২টি খাল-বিল ও দুই শতাধিক জলাশয় অস্তিত্ব সংকটে আছে। গতকাল সোমবার মানিকগঞ্জে নদী সম্মেলনে নদীগুলোর করুণ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ‘নদী বাঁচায় প্রাণ-প্রকৃতি, নদীর প্রাণ রক্ষা চাই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জেলা শহরের কালীবাড়ি এলাকায় সাবিস মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।
বেসরকারি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান বারসিক, ধলেশ্বরী নদী বাঁচাও আন্দোলন ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশ সম্মেলনের আয়োজন করে। সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংগীতের পর সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা।
এরপর সাবিস মিলনায়তনে আলোচনা সভা হয়। এতে ধলেশ্বরী নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম মহীউদ্দিন, পরিবেশবিদ দীপক কুমার ঘোষ, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সমকাল-এর জেলা প্রতিনিধি বিপ্লব চক্রবর্তী, ধলেশ্বরী নদী বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, উদীচীর জেলা সভাপতি গাজী ওয়াজেদ আলম, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় প্রমুখ। সম্মেলনে জেলার নদ-নদীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে লিখিত বক্তব্য দেন বিমল রায়। তিনি বলেন, দেশের বৃহৎ পদ্মা ও যমুনা নদী এ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া প্রবহমান ছিল শাখা নদ-নদী ধলেশ্বরী, ইছামতী, কালীগঙ্গা, কান্তাবতী, মনলোকহানী, গাজীখালী, ক্ষীরাই, মন্দা ও ভুবনেশ্বর। তবে পানিশূন্য হয়ে পড়ায় দীর্ঘদিন আগে কান্তাবতী, মনলোকহানী, ক্ষীরাই, মন্দা ও ভুবনেশ্বরের অস্তিত্ব বিলীন হয়।
এ ছাড়া ধলেশ্বরী, ইছামতী, কালীগঙ্গা ও গাজীখালী অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে আছে। উজানে ভারত থেকে পানিপ্রবাহ বন্ধ, খনন না করা এবং দখল-দূষণের কারণে এসব নদ-নদী সংকটে পড়েছে। জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এসব নদ-নদী শুকিয়ে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। বর্ষাকাল ছাড়া বছরের অধিকাংশ সময় পানি না থাকায় নদীগুলোর বুকে ফসলের আবাদ করা হয়।
এ ছাড়া জেলায় ৪২টি খাল-বিল ও দুই শতাধিক জলাশয়ের শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আজহারুল ইসলাম বলেন, জেলার সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী এলাকায় ধলেশ্বরীর উৎসমুখ ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীটি এখন মৃতপ্রায়। তিল্লী থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে দেড়গ্রাম পর্যন্ত খনন করা হলে নদীটির পানিপ্রবাহ অনেকটা নিশ্চিত করা যেতে পারে। এ জন্য নদীতীরবর্তী মানুষ তিন বছর ধরে নদীটি খননের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছে।
তবু নদী খননে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বেলা দুইটার দিকে সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হয়। বেলা আড়াইটায় সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। এতে নদী ও নদীমাতৃক গান পরিবেশন করেন জেলার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীরা।
বেলা দুইটার দিকে সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হয়। বেলা আড়াইটায় সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। এতে নদী ও নদীমাতৃক গান পরিবেশন করেন জেলার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীরা।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment