চলতি রস যেভাবে টসে জিততে পারে বাংলাদেশ
- Get link
- X
- Other Apps
চলতি রস
যেভাবে টসে জিততে পারে বাংলাদেশ
ম্যাচ জেতা এখন সহজ হয়ে গেলেও টসে ঠিকমতো জুত করতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যথারীতি কয়েন ওপরে উঠছে, নিউটনের সূত্র মেনে নিচে পড়ছেও, কিন্তু টস আর জেতা হচ্ছে না। তাই কীভাবে জয় করা যায় টস, ভেবে বের করেছেন আবদুল্লাহ মামুর
যে সমস্যার সমাধান ফেসবুকে নেই, সেই সমাধান দুনিয়ার কোথাও নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশের ফেসবুকাররা এদিক দিয়ে এগিয়ে। এখন ঘরে ঘরে নয়, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বা ট্যাবে ট্যাবে বিশেষজ্ঞ। এই বিশেষজ্ঞরা সবই জানেন। দুনিয়ার এমন কোনো সমস্যা নেই যার সমাধান তাঁরা দিতে পারেন না। তাই টস জয়ের জন্য তাঁদের শরণ নেওয়া যেতেই পারে। টসের কয়েনে ব্যবহৃত ধাতু, তার অনুপাত, বাতাসের গতি-প্রকৃতি, মাধ্যাকর্ষণ বল, সম্ভাব্যতার গাণিতিক বিশ্লেষণ, অধিনায়কের রাশির গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান নির্ণয় করার মাধ্যমে তাঁরা এর সমাধান বের করতে পারবেন নিশ্চিত।
দেশে কবির সংখ্যা কমে গেলেও কবিরাজের অভাব কোনো কালেই হয়নি। আর এই কবিরাজদের অস্ত্র একটাই—তাবিজ। কবিরাজের কদর এখনো কমেনি। কারণ, তঁাদের তাবিজে মানুষ এখনো বিশ্বাস রেখেছে। তো বিসিবি কেন এই পদ্ধতিটা খাটিয়ে দেখছে না! খেলা শুরু হওয়ার আগে মাঠের চারপাশে তাবিজ পুঁতে রাখলে টস তো বটেই, ম্যাচ জেতাও নিশ্চিত হতে বাধ্য। আর শতভাগ নিশ্চিত হতে টসের কয়েনটাকেই তাবিজ করা যায়। তাবিজে বিশ্বাস না রাখতে চাইলে জাদুকর জুয়েল আইচকেও অনুরোধ করে দেখতে পারে বিসিবি। দেশের স্বার্থে জুয়েল আইচ নিশ্চয়ই ‘না’ করবেন না।
প্রশ্ন ফাঁস বিষয়টাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন কিছু ব্যক্তি। তাঁরা কি কেবল এই এক কাজেই প্রতিভার সবটুকু ঢেলে দেবেন? না, এ হতে পারে না। তাঁরা এত যত্ন নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করেন যে প্রশাসন টেরই পায় না, এ দেশে প্রশ্ন ফাঁস বলে কিছু আছে! টস জয়ের জন্য এই প্রশ্ন ফাঁসকারীদের কাজে লাগানো যেতে পারে। তাঁরা টসের আগেই ফাঁস করে দিতে পারবেন কয়েন ছুড়ে মারলে হেড উঠবে নাকি টেল।
মানুষ খাল কেটে কুমির আনে। আর আমরা রাস্তা কেটে আনি ধুলাবালু। এর অবশ্য স্বীকৃতিও মিলেছে নিকট অতীতে। দুনিয়ার বড় বড় সব শহরকে পেছনে ফেলে ধুলাবালুময় নগরীর তালিকায় ঢাকা আছে অনেক এগিয়ে। তো এই রাস্তা যাঁরা খুঁড়ছেন, তাঁদের কথাই বা আমরা ভুলে যাই কী করে! তাঁরা যদি স্টেডিয়ামের আশপাশের রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করেন, তাহলেই তো কাজের কাজটা হয়। টসের আগে সেই ধুলাগুলো উড়িয়ে দেওয়া হবে মাঠের ভেতরে। কয়েনটা শূন্যে থাকতে থাকতেই সবাই চোখে অন্ধকার দেখবে, সেই ফাঁকে চাহিদা অনুযায়ী হেড বা টেল বেছে নেবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বলতে পারেন, বাংলাদেশ অধিনায়কও তো চোখে অন্ধকার দেখবেন! উত্তরে বলছি, আপনি কি রাস্তার এই ধুলাবালুতে চোখে অন্ধকার দেখেন? দেখেন না। বাংলাদেশের অধিনায়কও তো এই ধুলাবালুতেই মানুষ, নাকি? তাঁর চোখও ধুলাপ্রুফ—এটা নিশ্চিত।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment