ফোরজি সেবা চালুর নীতিমালা চূড়ান্ত
- Get link
- X
- Other Apps
ফোরজি সেবা চালুর নীতিমালা চূড়ান্ত
চলতি বছরে দেশে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) টেলিযোগাযোগ সেবা চালুর জন্য নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে দেশে ফোরজি প্রযুক্তি চালুর প্রক্রিয়া আরও একধাপ এগিয়ে গেল। একই সঙ্গে ফোরজি সেবা দিতে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা বা টেকনোলজি নিউট্রালিটি সুবিধার জন্য একটি প্রস্তাবিত দাম ঠিক করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা হলো যেকোনো তরঙ্গে যেকোনো প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার সুবিধা। বাংলাদেশে মুঠোফোন অপারেটররা বর্তমানে দ্বিতীয় (টুজি) ও তৃতীয় (থ্রিজি) প্রজন্মের সেবার জন্য তিনটি আলাদা ব্যান্ডের তরঙ্গ ব্যবহার করে। এই তিনটি ব্যান্ড হলো ৯০০, ১ হাজার ৮০০ ও ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজ। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা পেলে এই তিনটি ব্যান্ডের তরঙ্গ দিয়েই টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি সেবা দিতে পারবে মুঠোফোন অপারেটররা। তবে এ জন্য মেগাহার্টজপ্রতি তরঙ্গের জন্য আলাদা দাম দিতে হবে অপারেটরদের। প্রযুক্তি নিরপেক্ষ প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের দাম ৫৬ কোটি থেকে ৬৪ কোটি টাকা হতে পারে বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিটিআরসি ফোরজির নীতিমালা তৈরি করেছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে চলতি বছরের মধ্যে ফোরজি সেবা চালু করতে চায় সরকার। এ জন্য গত ২২ মার্চ এক পর্যালোচনা সভায় এ বিষয়ে বিটিআরসিকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফোরজির নীতিমালা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করেছে বিটিআরসি।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ফোরজি চালুর আগেই ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজ ও ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের তরঙ্গ নিলাম আয়োজন করা হবে। একই সঙ্গে তরঙ্গ ব্যবহারে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা সুবিধা দেওয়া হবে। ২০১৫ সালে এই দুটি ব্যান্ডের বাড়তি তরঙ্গ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিল বিটিআরসি। তখন অপারেটরদের অনাগ্রহে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ফোরজির প্রস্তাবিত নীতিমালায় বর্তমান মুঠোফোন অপারেটররাই সেবাটি আগে চালু করার সুযোগ পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ জন্য আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে। একই সঙ্গে তরঙ্গ কেনার শর্তে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের এ সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
ফোরজি চালুর জন্য সব মুঠোফোন অপারেটরই এখন নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ইতিমধ্যেই ফোরজি প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়েছে। এসব পরীক্ষায় ডাউনলোড ও আপলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ৫০ থেকে ১০০ এমবিপিএস (মেগা বিটস প্রতি সেকেন্ড)। থ্রিজি প্রযুক্তিতে সর্বোচ্চ ৪০ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড গতি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ১৯৯৩ সালে সিটিসেলের মাধ্যমে প্রথম টুজি প্রযুক্তির মুঠোফোন সেবা চালু হয়। সিটিসেলের টুজি প্রযুক্তির নাম ছিল সিডিএমএ (কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস)। ১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোনের মাধ্যমে টুজির আরেক প্রযুক্তি জিএসএম (গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন) চালু হয়। এরপর ২০১২ সালে সরকারি মালিকানাধীন অপারেটর টেলিটক থ্রিজি প্রযুক্তির সেবা চালু করে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল থ্রিজি চালু করে। বর্তমানে বিশ্বের ১৮০টির বেশি দেশে ফোরজি প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা চালু আছে।
প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা হলো যেকোনো তরঙ্গে যেকোনো প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার সুবিধা। বাংলাদেশে মুঠোফোন অপারেটররা বর্তমানে দ্বিতীয় (টুজি) ও তৃতীয় (থ্রিজি) প্রজন্মের সেবার জন্য তিনটি আলাদা ব্যান্ডের তরঙ্গ ব্যবহার করে। এই তিনটি ব্যান্ড হলো ৯০০, ১ হাজার ৮০০ ও ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজ। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা পেলে এই তিনটি ব্যান্ডের তরঙ্গ দিয়েই টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি সেবা দিতে পারবে মুঠোফোন অপারেটররা। তবে এ জন্য মেগাহার্টজপ্রতি তরঙ্গের জন্য আলাদা দাম দিতে হবে অপারেটরদের। প্রযুক্তি নিরপেক্ষ প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের দাম ৫৬ কোটি থেকে ৬৪ কোটি টাকা হতে পারে বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিটিআরসি ফোরজির নীতিমালা তৈরি করেছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে চলতি বছরের মধ্যে ফোরজি সেবা চালু করতে চায় সরকার। এ জন্য গত ২২ মার্চ এক পর্যালোচনা সভায় এ বিষয়ে বিটিআরসিকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফোরজির নীতিমালা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করেছে বিটিআরসি।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ফোরজি চালুর আগেই ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজ ও ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের তরঙ্গ নিলাম আয়োজন করা হবে। একই সঙ্গে তরঙ্গ ব্যবহারে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা সুবিধা দেওয়া হবে। ২০১৫ সালে এই দুটি ব্যান্ডের বাড়তি তরঙ্গ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিল বিটিআরসি। তখন অপারেটরদের অনাগ্রহে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ফোরজির প্রস্তাবিত নীতিমালায় বর্তমান মুঠোফোন অপারেটররাই সেবাটি আগে চালু করার সুযোগ পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ জন্য আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে। একই সঙ্গে তরঙ্গ কেনার শর্তে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের এ সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
ফোরজি চালুর জন্য সব মুঠোফোন অপারেটরই এখন নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ইতিমধ্যেই ফোরজি প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়েছে। এসব পরীক্ষায় ডাউনলোড ও আপলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ৫০ থেকে ১০০ এমবিপিএস (মেগা বিটস প্রতি সেকেন্ড)। থ্রিজি প্রযুক্তিতে সর্বোচ্চ ৪০ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড গতি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ১৯৯৩ সালে সিটিসেলের মাধ্যমে প্রথম টুজি প্রযুক্তির মুঠোফোন সেবা চালু হয়। সিটিসেলের টুজি প্রযুক্তির নাম ছিল সিডিএমএ (কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস)। ১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোনের মাধ্যমে টুজির আরেক প্রযুক্তি জিএসএম (গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন) চালু হয়। এরপর ২০১২ সালে সরকারি মালিকানাধীন অপারেটর টেলিটক থ্রিজি প্রযুক্তির সেবা চালু করে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল থ্রিজি চালু করে। বর্তমানে বিশ্বের ১৮০টির বেশি দেশে ফোরজি প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা চালু আছে।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment