রায় প্রত্যাখ্যান রাজীবের বাবার


রায় প্রত্যাখ্যান রাজীবের বাবার

রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ব্লগার রাজীবের বাবা চিকিৎসক নাজিমউদ্দিন। ছবি: ডেইলি স্টারের সৌজন্যেরায়ের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ব্লগার রাজীবের বাবা চিকিৎসক নাজিমউদ্দিন। ছবি: ডেইলি স্টারের সৌজন্যেব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডসহ আট আসামির সাজা বহাল রয়েছে। এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজীবের বাবা চিকিৎসক নাজিমউদ্দিন।
আজ রোববার রায়ের পর নাজিমউদ্দিন বলেন, যারা আমার সন্তানকে মেরেছে, তারা প্রমাণিত সন্ত্রাসী। শিক্ষিত সন্ত্রাসী। কিন্তু তাদের সর্বোচ্চ সাজা হয়নি। জঙ্গিদের যদি সর্বোচ্চ সাজা না দেওয়া হয়, তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন সমাজের কী অবস্থা।
রাজীবের বাবা আরও বলেন, ‘সরকার বলে তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তাদের জিরো টলারেন্স। সরকার জঙ্গি দমনে বদ্ধপরিকর। কিন্তু আদালতে এসে তার প্রমাণ পাইনি।’
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার যতটুকু সুযোগ আছে, সেটুকু করব।’
আসামিদের মধ্যে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া মাকসুর হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে ১০ বছর করে এবং আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিমুদ্দিন রাহমানীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জসিমুদ্দিন রাহমানী ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা নথর্সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনের মধ্যে পলাতক আসামি রেদোয়ানুল আপিল করেননি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপসহ সাতজন আপিল করেন।
আরও পড়ুন: 

Comments

Popular posts from this blog

হস্তমৈথুনের ফলে কতো ক্যালোরী খরচ হয় ?