আওয়ামী লীগে দলে দলে বিএনপি-জামায়াত!
- Get link
- X
- Other Apps
আওয়ামী লীগে দলে দলে বিএনপি-জামায়াত!
বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা দলে দলে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন বলে সহযোগী একটি দৈনিক যে প্রধান শিরোনাম করেছে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে পত্রিকাটি যখন বিএনপি-জামায়াত থেকে আসা লোকজনই দলের সর্বনাশ করছেন বলে পুরোনো আওয়ামী লীগারদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছে, তখন কিছুটা বিস্মিত হয়েছি। নবাগত আওয়ামী লীগারদের থেকে পুরোনো আওয়ামী লীগারদের রেকর্ড উত্তম, সে কথা নিশ্চয়ই জোর দিয়ে বলা যায় না। যাঁরা দলে এসেছেন এবং যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা আসলে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আর আসা-যাওয়ার মাধ্যমে পুরোনোরা কিছু ‘ফাও’ কামিয়ে নিয়েছেন।
একটি রাজনৈতিক দল থেকে আরেকটি দলে নেতা-কর্মীরা যোগ দেন প্রথমত আদর্শগত কারণে, দ্বিতীয়ত অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা যখন মনে করছেন আওয়ামী লীগে যোগ দিলেই ‘সাত খুন মাফ’ পাওয়া যাবে, আর যোগ না দিলে আজীবন চৌদ্দ শিকের ভেতরে থাকতে হবে, তখন তাঁরা আওয়ামী লীগে যোগদানকেই আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ উপায় মনে করছেন।
পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ‘সারা দেশে গত চার বছরে ৩০ হাজারের বেশি জামায়াত-শিবির-বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থক আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগে যোগদান করেছেন। অতীত অপকর্ম থেকে রেহাই পাওয়া, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আগামী নির্বাচনে জনগণ থেকে দলকে বিচ্ছিন্ন করার টার্গেট নিয়ে তাঁরা ক্ষমতাসীন দলে যোগ দিয়েছেন। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় এমপিরা নিজেদের আলাদা বলয় সৃষ্টি করতে বিএনপি-জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশকারীদের দলে গুরুত্বপূর্ণ পদও দিয়েছেন। মাঠ এখন হাইব্রিডদের দখলে।’ (ইত্তেফাক, ২ এপ্রিল ২০১৭)
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা প্রায়ই বলেন, বাইরে থেকে আসা হাইব্রিড কর্মীরা তাঁদের সর্বনাশ করছেন। তাঁরা যখন জানেনই যে নবাগত কর্মীরা দলের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন, তখন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? যেসব স্থানে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের দলে নেওয়া হয়েছে, সেসব স্থানে হয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল, নয়তো দলীয় নেতৃত্ব বহু ধারায় বিভক্ত। একপক্ষকে দুর্বল করতে অন্য পক্ষ বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের সাদরে বরণ করে নিচ্ছে। ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা এসব কর্মীদের মালা ফেরত দেওয়ার মতো আদর্শিক ও নৈতিক মনোবল কিংবা সাংগঠনিক শক্তি আওয়ামী লীগের আছে বলে মনে হয় না।
হাইব্রিড কথাটি আমরা প্রথম শুনি ধানের ক্ষেত্রে। বিভিন্ন জাতের ধান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বৈজ্ঞানিকেরা যে নতুন ধানের জাত আবিষ্কার করেছেন, সেটি পুরোনো ধানের চেয়ে অনেক বেশি ফলনশীল বলেই এর নাম দেওয়া হয়েছে হাইব্রিড বা উচ্চফলনশীল। রাজনীতিতেও সামরিক শাসকেরা ক্ষমতায় থেকে এ ধরনের হাইব্রিড নেতা-কর্মীদের দিয়ে দল করতেন। সামরিক শাসকের দল বিএনপি বা জাতীয় পার্টি সেসব করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রধান সিপাহশালার আওয়ামী লীগের সেই তরিকা ধরার প্রয়োজন পড়ল কেন? নেতাদের দাবি অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের কোনো সম্পর্কই চলে না। তাহলে সেই বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের দলে টেনে নেওয়ার কী কারণ থাকতে পারে?
কারণ একটি, নগদ যা পাও হাত পেতে নাও, আদর্শের খাতা শূন্য থাক।
আওয়ামী লীগে দলে দলে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের নেওয়ার আরেকটি কারণ হলো, পুরোনো কর্মীদের দিয়ে আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনী যুদ্ধে জয়ী হওয়া যাবে, দলের নীতিনির্ধারকেরা সে ব্যাপারে মোটেই ভরসা পাচ্ছেন না। দলের অনেকে বলার চেষ্টা করেন, হাইকমান্ডের অগোচরেই বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা আওয়ামী লীগে আসছেন। অবিশ্বাস্য ঘটনা! যে দলে হাইকমান্ডের অনুমোদন ছাড়া গাছের পাতাটি নড়ে না, সেই দলে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা আসছেন কীভাবে? এটি আসলে যাঁরা আওয়ামী লীগকে বিএনপি-জামায়াত থেকে পৃথক দেখতে চান, তাঁদের চোখে ধুলা দেওয়ামাত্র। এমনিতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার আদর্শগত দূরত্ব এখন ‘জয়বাংলা’ ও ‘জিন্দাবাদের’ মধ্যে সীমিত হয়ে পড়েছে। বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা জয়বাংলা বলে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে সেই ব্যবধানটুকুও আর থাকবে না। তখনই আওয়ামী লীগের কাঙ্ক্ষিত ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রতিষ্ঠিত হবে।
তবে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগদানের মধ্যে একটি ইতিবাচক দিক হলো, ‘হারিজিতি নাহি লাজ, মিলেমিশে করি কাজ।’ আওয়ামী লীগ জাতীয় ঐক্য গঠনের কথা বলছে। বিএনপি-জামায়াত থেকে আরও কিছু নেতা-কর্মী পুরোপুরি নিতে পারলে তখন আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধ কথা বলারও লোক পাওয়া যাবে না। মাঠে নামার পথ সরকার আগেই বন্ধ করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তৃতা-বিবৃতিতে যা-ই বলুন না কেন, তাঁরা বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে আদর্শগত ফারাকটা প্রায় মুছে ফেলেছেন। কথাটা শুনে অনেকে অবাক হতে পারেন। আওয়ামী লীগের ঘোষিত নীতি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। অথচ এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলেও প্রতিকার হয়েছে খুব কমই। বিএনপির নেতারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন ঘটলে তা স্বীকারই করতেন না। আওয়ামী লীগের নেতারা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে স্বীকার করছেন, কোথাও কোথাও আক্রান্ত ব্যক্তির কথা শুনে বিচলিতও হচ্ছেন। কিন্তু সেই আক্রান্ত মানুষগুলোর নিরাপত্তা বিধানে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটি করছেন না। এ কারণেই রামুর পর সাঁথিয়া, সাঁথিয়ার পর নাসিরনগর, নাসিরনগরের পর গোবিন্দগঞ্জে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। বিএনপি আমলে দলীয় নেতা-কর্মীরা এসব অপকর্মে লিপ্ত থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরাসরি সঙ্গে যুক্ত হয়নি। কিন্তু গোবিন্দগঞ্জে দেখলাম পুলিশ সদস্যরা সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছেন।
একটি রাজনৈতিক দল থেকে আরেকটি দলে নেতা-কর্মীরা যোগ দেন প্রথমত আদর্শগত কারণে, দ্বিতীয়ত অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা যখন মনে করছেন আওয়ামী লীগে যোগ দিলেই ‘সাত খুন মাফ’ পাওয়া যাবে, আর যোগ না দিলে আজীবন চৌদ্দ শিকের ভেতরে থাকতে হবে, তখন তাঁরা আওয়ামী লীগে যোগদানকেই আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ উপায় মনে করছেন।
পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ‘সারা দেশে গত চার বছরে ৩০ হাজারের বেশি জামায়াত-শিবির-বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থক আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগে যোগদান করেছেন। অতীত অপকর্ম থেকে রেহাই পাওয়া, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আগামী নির্বাচনে জনগণ থেকে দলকে বিচ্ছিন্ন করার টার্গেট নিয়ে তাঁরা ক্ষমতাসীন দলে যোগ দিয়েছেন। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় এমপিরা নিজেদের আলাদা বলয় সৃষ্টি করতে বিএনপি-জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশকারীদের দলে গুরুত্বপূর্ণ পদও দিয়েছেন। মাঠ এখন হাইব্রিডদের দখলে।’ (ইত্তেফাক, ২ এপ্রিল ২০১৭)
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা প্রায়ই বলেন, বাইরে থেকে আসা হাইব্রিড কর্মীরা তাঁদের সর্বনাশ করছেন। তাঁরা যখন জানেনই যে নবাগত কর্মীরা দলের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন, তখন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? যেসব স্থানে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের দলে নেওয়া হয়েছে, সেসব স্থানে হয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল, নয়তো দলীয় নেতৃত্ব বহু ধারায় বিভক্ত। একপক্ষকে দুর্বল করতে অন্য পক্ষ বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের সাদরে বরণ করে নিচ্ছে। ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা এসব কর্মীদের মালা ফেরত দেওয়ার মতো আদর্শিক ও নৈতিক মনোবল কিংবা সাংগঠনিক শক্তি আওয়ামী লীগের আছে বলে মনে হয় না।
হাইব্রিড কথাটি আমরা প্রথম শুনি ধানের ক্ষেত্রে। বিভিন্ন জাতের ধান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বৈজ্ঞানিকেরা যে নতুন ধানের জাত আবিষ্কার করেছেন, সেটি পুরোনো ধানের চেয়ে অনেক বেশি ফলনশীল বলেই এর নাম দেওয়া হয়েছে হাইব্রিড বা উচ্চফলনশীল। রাজনীতিতেও সামরিক শাসকেরা ক্ষমতায় থেকে এ ধরনের হাইব্রিড নেতা-কর্মীদের দিয়ে দল করতেন। সামরিক শাসকের দল বিএনপি বা জাতীয় পার্টি সেসব করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রধান সিপাহশালার আওয়ামী লীগের সেই তরিকা ধরার প্রয়োজন পড়ল কেন? নেতাদের দাবি অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের কোনো সম্পর্কই চলে না। তাহলে সেই বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের দলে টেনে নেওয়ার কী কারণ থাকতে পারে?
কারণ একটি, নগদ যা পাও হাত পেতে নাও, আদর্শের খাতা শূন্য থাক।
আওয়ামী লীগে দলে দলে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের নেওয়ার আরেকটি কারণ হলো, পুরোনো কর্মীদের দিয়ে আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনী যুদ্ধে জয়ী হওয়া যাবে, দলের নীতিনির্ধারকেরা সে ব্যাপারে মোটেই ভরসা পাচ্ছেন না। দলের অনেকে বলার চেষ্টা করেন, হাইকমান্ডের অগোচরেই বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা আওয়ামী লীগে আসছেন। অবিশ্বাস্য ঘটনা! যে দলে হাইকমান্ডের অনুমোদন ছাড়া গাছের পাতাটি নড়ে না, সেই দলে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা আসছেন কীভাবে? এটি আসলে যাঁরা আওয়ামী লীগকে বিএনপি-জামায়াত থেকে পৃথক দেখতে চান, তাঁদের চোখে ধুলা দেওয়ামাত্র। এমনিতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার আদর্শগত দূরত্ব এখন ‘জয়বাংলা’ ও ‘জিন্দাবাদের’ মধ্যে সীমিত হয়ে পড়েছে। বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা জয়বাংলা বলে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে সেই ব্যবধানটুকুও আর থাকবে না। তখনই আওয়ামী লীগের কাঙ্ক্ষিত ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রতিষ্ঠিত হবে।
তবে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগদানের মধ্যে একটি ইতিবাচক দিক হলো, ‘হারিজিতি নাহি লাজ, মিলেমিশে করি কাজ।’ আওয়ামী লীগ জাতীয় ঐক্য গঠনের কথা বলছে। বিএনপি-জামায়াত থেকে আরও কিছু নেতা-কর্মী পুরোপুরি নিতে পারলে তখন আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধ কথা বলারও লোক পাওয়া যাবে না। মাঠে নামার পথ সরকার আগেই বন্ধ করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তৃতা-বিবৃতিতে যা-ই বলুন না কেন, তাঁরা বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে আদর্শগত ফারাকটা প্রায় মুছে ফেলেছেন। কথাটা শুনে অনেকে অবাক হতে পারেন। আওয়ামী লীগের ঘোষিত নীতি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। অথচ এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলেও প্রতিকার হয়েছে খুব কমই। বিএনপির নেতারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন ঘটলে তা স্বীকারই করতেন না। আওয়ামী লীগের নেতারা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে স্বীকার করছেন, কোথাও কোথাও আক্রান্ত ব্যক্তির কথা শুনে বিচলিতও হচ্ছেন। কিন্তু সেই আক্রান্ত মানুষগুলোর নিরাপত্তা বিধানে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটি করছেন না। এ কারণেই রামুর পর সাঁথিয়া, সাঁথিয়ার পর নাসিরনগর, নাসিরনগরের পর গোবিন্দগঞ্জে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। বিএনপি আমলে দলীয় নেতা-কর্মীরা এসব অপকর্মে লিপ্ত থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরাসরি সঙ্গে যুক্ত হয়নি। কিন্তু গোবিন্দগঞ্জে দেখলাম পুলিশ সদস্যরা সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছেন।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment