গণধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ৩



চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকার পাহাড়ে এক নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গত বুধবার বিকেলে শারমিন আক্তার (৪০) নামের ওই নারী পাহাড়ে কাঠ আনতে গিয়ে আর ফেরেননি। পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ তাঁর ছুরিকাহত লাশ উদ্ধার করে। ওই দিনই এ ঘটনায় মামলা হয়। শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জসিম উদ্দিন ওরফে বাচ্চু (৩৫), আবদুল মোতালেব (৪২) ও সরোয়ার আলম ওরফে সেরু (৫৫) নামের তিনজনকে কুমিরার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জসিম ও মোতালেবের বাড়ি কুমিল্লায়, বর্তমানে তাঁরা কুমিরা রেলওয়ে উত্তর কলোনিতে থাকেন। সরোয়ার কুমিরার কোর্টপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ওসির ভাষ্য, গ্রেপ্তার তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে বুধবার বিকেলে শারমিন পাহাড়ে লাকড়ি আনতে যাওয়ার আগ থেকেই তাঁরাসহ পাঁচ ব্যক্তি সেখানে ছিলেন। পরে ওই নারী তাদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হন। গণধর্ষণের পর ছুরিকাঘাতে শারমিনকে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রাখা হয়।
নিহত শারমিন আক্তারের স্বামী নেই। তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে কুমিরা রেলস্টেশন এলাকার পাহাড়ের পাশের একটি বাড়িতে থাকতেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায়।

Comments

Popular posts from this blog

হস্তমৈথুনের ফলে কতো ক্যালোরী খরচ হয় ?